Description
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় শিল্প-জগতের সর্বাধিক বিস্ময়কর নাম। কিন্তু কেবলমাত্র শিল্পী- এইটিই তাঁর সমগ্র পরিচয় নয়। বাংলা সাহিত্যের দরবারেও তাঁর একটি বিশিষ্ট আসন চিহ্নিত হয়ে আছে। যেমন শিল্পকলায় তেমনই সাহিত্য-ক্ষেত্রেও তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষার অন্ত ছিল না। অবশ্য শিশুদের জন্য রচনাতেই তাঁর ঝোঁক ছিল সব চেয়ে বেশি। তাঁর ‘রাজকাহিনী’, ‘বুড়ো আংলা’, ‘শকুন্তলা’ প্রভৃতি বই বাংলার শিশুরা চিরদিনের মতো আপন করে নিয়েছে। স্মৃতিকথা হিসেবে ‘ঘরোয়া’ ও ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ দুটি অনবদ্য রচনা। কিন্তু তাঁর শিল্পীমন নানারকম রচনার স্বপ্ন দেখত। তার মধ্যে যাত্রাগানের পালা-ও অন্যতম। শোনা যায় তাঁর খুল্লতাত স্বয়ং রবীন্দ্রনাথেরও ইচ্ছা ছিল যাত্রার পালা লিখবেন- কিন্তু তাঁর সহস্রবিধ কর্মের একান্ত অনবসরে বোধ করি তা হয়ে ওঠেনি। অবনীন্দ্রনাথ তাঁর কল্পনাকে সার্থক করেছিলেন। “যাত্রাগানে রামায়ণ” তার-ই ফসল। লেখকের দৌহিত্র স্বর্গগত মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় “যাত্রাগানে রামায়ণ”-এর পাণ্ডুলিপিটি বই আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। বহু বছর বইটি অপ্রকাশিত অবস্থায় পড়েছিল। দীর্ঘকাল অপ্রকাশিত থাকার পর শিল্পী শুভাপ্রসন্ন-র প্রচেষ্টায় এটি পুনঃপ্রকাশিত হল। বাংলার পাঠকরা এই নতুন ধরনের সাহিত্য-রচনাটি পেয়ে সমৃদ্ধ হবেন।
Reviews
There are no reviews yet.