Description
‘নাজনীন এক কল্পিত প্রেমিকা’ একটা সময়কে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, একজন পবিত্র মেয়ের প্রতি ভালোলাগা এবং ভালোবাসা দুই বিষয়কে নাজনীনের প্রতি সম্মান রেখে বর্ননা করার চেষ্টা করা হয়েছে, যে সুন্দর মুহূর্তগুলো একজন প্রেমিকের স্মৃতি হিসেবে প্রতি মুহূর্তে আঁকড়ে থাকে এবং তার সাথে পরিস্থিতির কারণে ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও তাকে না বলতে পারা কথাগুলো কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা, এছাড়া সমাজের বিভিন্ন বিষয়গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা, সারমেয়দের প্রতি প্রেম বা অবলা প্রাণীদের ওপর অত্যাচার, মানুষের বিভিন্ন আচরণগত বিষয়, সামাজিক অবক্ষয় অথবা ট্রাম, রিক্সা, চিলেকোঠা, কার্টুন, সিনেমাহলের ভূমিকা, বিশেষ করে নব্বই দশকের একটা সুন্দর সময়কে হাতরানোর ইচ্ছে প্রভৃতি বিষয়গুলো একটি বইতে কবিতার মাধ্যমে মেলে ধরতে চাওয়া হয়েছে।
অবলা প্রাণীদের ওপর অত্যাচার, মানুষের আচরণের বৈপরিত্য, সামাজিক অবক্ষয় মনের নরমে আঁচড় কাটে। সেই কষ্টদাগ দগদগে ক্ষত হয়ে জেগে ওঠে শব্দে। মুহূর্তের স্মৃতি আঁকড়ে পড়ে থাকা বিবাগী হৃদয়ে রিনিরিন বাজতে থাকে প্রিয়তমা নারীকে মনের কথা জানাতে না পারার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। সোনালি বিকেলে শহরের ট্রাম-রিক্সার ঘ্যাড়ঘ্যাড়ে শব্দ, চিলেকোঠার ঘরে হঠাৎ বড় হয়ে ওঠা, বইয়ের মলাটে সেঁটে রাখা কার্টুনচরিত্র অথবা মফস্সলের সিনেমাহলের সোঁদা গন্ধ কীভাবে যেন হারিয়ে যায় সময়রেখার আয়ু ধরে। সেসব ফেলে আসা সবকিছুই অযুত মায়া হয়ে জমে থাকে কবির মন-মননে। ‘প্রেম ধীরে মুছে যায়’, পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি আর প্রেমিকের দীর্ঘশ্বাস!
ভালোলাগা আর ভালোবাসার মুহূর্তযাপনের কবিতাকোলাজ—-