Description
লিভারপুলের এক অখ্যাত প্রভিন্স ল্যাঙ্কাশায়ার থেকে অপরূপা কিশোরী ফ্রান্সেস হিল কাজের সন্ধানে লন্ডনে এসে পৌঁছায় বন্ধু এস্থারের হাত ধরে। আড়াইশো বছর আগের লন্ডন। পুরনো, কিন্তু বর্তমানের মতোই বিপদসংকুল। অচেনা মানুষ, অচেনা শহর— তার নিজের শরীরের মতোই অনাবিষ্কৃত। এক সরাইখানায় তাকে ছেড়ে দিয়ে উধাও হয়ে যায় সেই বন্ধু। এরপর নিয়তির অমোঘ টানে মিসেস ব্রাউনের হাত ধরে সে এসে পৌঁছায় এক বেশ্যালয়ে। কিছুদিন পরেই তার জীবনে বসন্তের অতিথি হয়ে আসে যুবক চার্লস। কিন্তু বিধাতা তার জন্য অন্য কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন। চার্লসের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে পালিয়ে এলেও শেষ রক্ষা হল না। হঠাৎই নিরুদ্দেশ হয়ে গেল চার্লস। আবার সে ভেসে চলল এক বেশ্যালয় থেকে অন্য বেশ্যালয়ে। বাড়ি বদলে যায়, বদলে যায় বাড়িওয়ালিও। রোজ রাতে হাত বদল হতে হতে, কখনও কোনো বিত্তবান পুরুষের বাঁধা-রক্ষিতা হয়ে থেকে যায় সে। কেমন ছিল কিশোরী থেকে যুবতী হয়ে ওঠা ফ্যানির জীবন? চার্লস কি তার জীবনে ফিরেছিল কখনো? ফ্যানির লেখা দুটি চিঠির পাতায় পাতায় উঠে আসা পতিতালয়ের কোন কানাগলির হদিস পাবেন পাঠক? এ কোন সমুদ্র, যা মন্থন করলে উঠে আসে শুধুই যৌনতা? যৌনসুখ-দুঃখ-হতাশা-অভিজ্ঞতায় পেশাদার যৌনকর্মী হয়ে ওঠা ফ্যানিকে কি নষ্ট মেয়ে বলে দাগিয়ে দেওয়া যায়?