Description
এটি কোনো আত্মজৈবনিক উপন্যাস নয়। এই কাহিনি রচনার প্রেক্ষাপট বাস্তবের সঙ্গে খানিকটা সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও, এর প্রতিটি চরিত্র ও ঘটনাবলি কল্পনাপ্রসূত এক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এই কাহিনিতে রয়েছে সৌনকের জীবনের এলোমেলো কিছু বসন্তের গল্প। আমাদের জীবনে বসন্ত আসে কয়েক মুহূর্তের জন্য। দৈনন্দিন জীবনের গ্লানি আর ভালো থাকার রেষারেষিতে বসন্তকে ছুঁয়েই আমাদের হারিয়ে যাওয়ার বায়না। সুখ-দুঃখের আসা-যাওয়ার মাঝে একবার উঁকি দিলেই আমরা খুঁজে পাব রঙিন বসন্তকে।
কলেজ ও তার পরবর্তী কিছু বছর পার করে সৌনকের স্বপ্ন এবং তার কর্মজীবনকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে কতকগুলো মানুষের এক জীবনের নানান অধ্যায়ের টুকরো টুকরো কয়েকটা খণ্ড। এই কাহিনিতে আছে সিনেমা আর শুটিংয়ের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। নিয়তির বিচিত্র সব নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড।
এই উপন্যাসে প্রেমকে একটুও নতুন করে তুলে ধরা হয়নি। আদি-অকৃত্রিম পরকীয়া আর মুখরোচক কেচ্ছা-কাহিনিকে গ্লোরিফাই করে, লেখক গ্ল্যামার আনার চেষ্টা করেছেন তাঁর প্রথম সাহিত্যকীর্তিতে।
মোহর ও তার মায়ার খেলাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ভালোবাসার বাড়ি। তারপর বীভৎস এক বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গেছে সেই মায়ার জগৎ। বৈরাগ্য নেমে এসেছে বসন্তের জীবনে।
পুনশ্চ: খুব উঁচু থেকে জীবনকে দেখলে বোঝা যায় আমাদের জীবনে প্রেমের সম্পর্কগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কতকগুলো পাহাড়ি গ্রাম ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথক পৃথক রুচি আর সংস্কৃতিসম্পন্ন জনপদ। যার মধ্যে দিয়ে পাকদণ্ডী পথ উঠে গেছে জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার দিকে। এই পথ ধরে অন্ধের মতো ঠোক্কর খেতে খেতে এগিয়ে চলেছে অধিকাংশ মানুষ। বেঁচে থাকার সুধারসকে আস্বাদন না করেই, সুগন্ধি ঘ্রাণ অন্তরের গভীরে টেনে না নিয়েই আমাদের যে চলা, সে চলা তো না চলারই মতো।