Description
অভয়ার জন্য পথ চলতে চলতে সঞ্চিত হয়েছে নানা ধরণের অভিজ্ঞতা। একটি মানুষ আর একটি অচেনা মানুষের হাত ধরে থাকতে চেয়েছেন মানবিক দায়বদ্ধতায়। তাঁরা ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছেন দুর্লঙ্ঘ মানব-বন্ধন ! প্রতিদিনের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। সেই মানুষের স্রোত, নিজের জীবন-সমস্যার চোরাস্রোতকে কাটিয়ে এগিয়ে এসেছেন প্রতিবাদ মিছিলে, ন্যায় বিচারের দাবি জানাতে।
প্রতিদিনের পথচলা মসৃণ ভাবে মিশে যেতে চেয়েছে বহমান আন্দোলনের সঙ্গে। একটা সুস্থ পরিবেশের দাবিতে, ন্যায়ের পথে চলতে মানুষের ঢল নেমেছে রাজপথে-অলিগলিতে। দেশ-কালের সীমানা পেরিয়ে, ব্যস্ত জীবনের কোলাহলকে সঙ্গে নিয়েই মানুষ এগিয়ে এসেছে বারবার। আবেগ, আশা-হতাশা, চাওয়া-পাওয়ার সূক্ষ্ম সুতোয় একটা করে স্বপ্ন বুনতে চেয়েছে হৃদয়।
অগুনতি মানুষের ভিড়েও কিছু মানুষ ছুঁয়ে গেছেন হৃদিতল। এত এত মানুষের ভিড়ে এই নক্ষত্রমানুষদের খুঁজে নিয়েছেন লেখক! বর্ধমানের আমরুল গ্রামের স্বাগতা পাগলি, পরিত্যক্ত সামগ্রী কুড়িয়ে বিক্রি করা অপ্সরা মাঝি, মেমারির নূরজাহান বেগম, গ্লাভস-পাপেটিয়ার অরুণ কুমার ঘোষ, ডোমজুরের বাচ্চা মেয়েটি বা বেলজিয়ামের গোকেন এই তালিকা নাতিদীর্ঘ নয়। সকল সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, দুঃখ, আশা-ভরসার গল্পগুলোকে, মুহূর্তযাপন ও অনুভূতিগুলিকে পরম যত্নে শব্দে-ছবিতে সাজিয়ে তুলেছেন নীল। দ্রোহ পরবর্তী এই শৈত্যে আমাদের নরম ছুঁয়ে থাকুক—- দ্রোহকালের Diary