Description
মধ্যযুগ ছিল অন্ধকার, তারপর জল পড়িল, পাতা নড়িল, ফুল ফুটিল এবং সিরাজ বধ করিয়া, সগর্বে য়ুরোপ আসিয়া বাংলাকে গ্লোবাল করিয়া জ্ঞানের আলো দেখাইল, সোমনাথ এইসব ঢপেচ্চ্পেও বিশ্বাস করে না। সে রামপ্রসাদের ভক্ত। প্রগতি নামক লিনিয়ারিটিকে এন্তার দুচ্ছাই করে, বোধহয় একটু বেশিই করে। ইংরেজ এসে বাংলায় স্বর্গের সিঁড়ি বানিয়ে দিয়েছিল, সেই পাশ্চাত্য সিঁড়ি দিয়ে আমরা ক্রমাগত উপরে উঠে একদিন মেঘ ও ইনস্যাট ছাড়িয়ে সুখের সপ্তম স্বর্গে পৌঁছব, এতে সে বিশ্বাস করে না। মধ্যযুগের বাংলার সমৃদ্ধি শুধু সাংগীতিক বা আধ্যাত্মিক ছিল না। আমরা জানি পৃথিবীর অর্থনীতির সামনের সারিতে ছিল চৈতন্যমণ্ডিত বাংলাদেশ। উৎপাদনের শীর্ষে উঠতে রাষ্ট্র-সমাজের দ্বন্দ্ব, জাতিদ্বেষ, ব্যক্তিগত লোভ হিংসা এইসব সমস্যার সমাধান তাকে করতে হয়েছিল নিশ্চয়ই। যেমন আবশ্যিকভাবে এসেছিল এলিয়েনেশন, কমোডিটি ফেটিশ প্রভৃতি প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজা। হরিবিরহের বাংলা উপলব্ধি করেছিল না-পাওয়াও এক বড় অর্জন এবং সেই অর্জন সমন্বয়ের। সেই অর্জন তাকে দিয়েছিল বৃন্দাবনের উপাসনার অধিকার। এইসকল আলোচনা পাওয়া যাবে প্রকাশিতব্য বই “অরূপ বৃন্দাবন ও অন্যান্য পদ”-এ।