Description
‘অনাত্মীয়া’ উপন্যাসটিও একটি সত্য ঘটনার উপর আধারিত। তাঁরা মোটেই জমিদার-টার নন, কোনো কালেও ছিলেন না, তবে তাদের বাড়ির উঠোনস্থিত নারকেলগাছে এক নবোড়াভূক প্রেতিনী বা পিশাচিনী, বা ঐ জাতীয় কিছু থাকায় সে বাড়ির বাসিন্দারা বাড়ি পরিত্যাগ করে অনত্র থাকেন, এমনটি শুনেছিলাম। অমনি কল্পনার উদ্রেক হল। কল্পনাশক্তির প্রয়োগে কলম থেকে বেরিয়ে এলেন ভোগী জমিদার অপরেশ; অসহায়, ভাগ্যহীনা জমিদার গিন্নী কমললতা; মোক্ষ, ও অন্যান্যরা। উপন্যাসের দ্বিতীয়াংশের জায়গা তৈরী করেই রেখেছিলাম প্রথমাংশের শেষ দিকে। যে গোঁড়া লেবুটা পুঁতে ভৌমিকবাড়ির বায়ু দোষগ্রস্ত করা হয়েছিল, সেটি প্রথম ভাগের, মানে ‘অনাত্মীয়া’র শেষে কোথায় যে গেলো, সে বিষয়ে আর বিশেষ কেউ মাথা ঘামায়নি তখন। তাই ওই লেবুটিকে ঘিরেই আবার জেগে ওঠে সেই দুর্দমনীয় পিশাচ, গ্রাস করতে উদ্যত হয়ে ওঠে উপন্যাসে বর্ণিত ভৌমিক বংশের প্রদীপের শেষ শিখা, অমরেশ ও লিন্ডার কন্যা ‘অলিভিয়া’কে।
Reviews
There are no reviews yet.