Description
ডিহং, ডিবং, গাবরু বাংলা সাহিত্যে তত বিখ্যাত নয়। ক্ষীণতোয়া মনু নদীর নাতি পুতিও বর্তমান, তাই বা কে জানত? সেসব নদীর জলে সময়ের ছায়া কেমন ভাবে পড়েছিল তাও আমরা সম্যক জানি না। ময়মনসিংহের ঠুনকি, মানকি বা আৎকা পীরের বিষয়েও আমাদের জ্ঞান সীমিত। ভারত ভূখন্ডে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ত্রিপুরা, আসামের বাঙালীদের জীবন কেমন ছিল? আমরা জানিনা। ঈশান কোণের ভারতবর্ষ, আমাদের ভূগোলের বাইরে, তার ইতিহাসও দশম শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ে পাওয়া যায়না। আমরা ‘মেঘে ঢাকা তারা’ জানি, পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু কলোনির বেদনা জানি। গ্রাম বাংলার পথের পাঁচালি জানি, নাগরিক টানাপোড়েনের সাত-পাকে-বাঁধা জানি। কিন্তু উত্তর-পূর্বের আখ্যান জানিনা। সেখানে ষাট সত্তরের দশকে মফস্বলের স্কুলে চাকরি নিয়ে আসা একটি মেয়ের জীবন আবর্তিত হত কোন অক্ষের চারদিকে? কেমন করে চলতো জীবন, বেঁচে থাকা? পূর্বনারীর স্মৃতিতে খোদাই করা থাকলেও সেসব আখ্যান ইতিহাস বইয়ে সুলভ নয়। ‘৪৬ হরিগঙ্গা বসাক রোড’ এই অভাব কিছুটা কমাবে বলেই আমাদের আশা। প্রবীণা লেখিকা বলেছেন “ব্যক্তিজীবনে যদি সময়ের ছায়া পড়ে, তাহলেই আর, নাহি মা ডরি শমনে”।