Description
মধুসূদন দত্তের লেখনীর বৈশিষ্ট্যকে যদি তুলে ধরা হয়, তা হলে নিঃসন্দেহে সকলেই বলবেন, ওঁর লেখায় বৈপরীত্যের প্রত্যক্ষ অবস্থান বর্তমান। যেমন একদিকে রয়েছে কোমল নমনীয়তা, তেমন আর দিকে সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রদীপ্ত পৌরুষ। আর ঊনবিংশ শতাব্দীর যে দুই যুগন্ধর প্রতিভার মধ্যে এই দুই বৈপরীত্যের সমাবেশ ঘটেছিল তাঁদের মধ্যে একজন মধুসূদন হলে, আর একজন অবশ্যই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এবং দু’জনেই বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি সৃজনীস্রষ্টা। রচনাগাম্ভীর্ষ, নারীর চরিত্র চিত্রাঙ্কন, শাশ্বত জীবনদর্শনের সঙ্গে এসে মিলেছে কবিকল্পনা। আর এ ভাবেই স্বকীয় হয়ে উঠেছেন মধুসূদন। ‘মধুসূদনের জীবন ও সাহিত্যে সীমান্ত বাংলা ও ঝাড়খণ্ড’ বইয়ের নানা প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে কীভাবে সীমান্ত বাংলা ও ঝাড়খণ্ড রং মেলেছে মধুসূদনের লেখায়, ভাবনায়, চিন্তনে এবং প্রকাশে।