Description
সাহিত্যের শাখাগুলির মধ্যে কবিতার পাশাপাশি নাটকই প্রাচীনতম। নাটকের সূত্রপাত হয়েছিল গ্রিস দেশে, খ্রিস্টপূর্বাব্দে, ইসকাইলাসের হাতে। ট্র্যাজেডি এবং কমেডির বিভাজন সেই সময়ই হয়। তারপর ক্রমে রোম, ভারত, চিন এবং জাপানে সমৃদ্ধ নাটকের সূত্রপাত হয়। এর পর ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উৎকৃষ্ট নাটকের জন্ম হয়। প্রাচীন যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই নাট্যকার, সফোক্লেস এবং কালিদাস। প্রাচীন গ্রিক ও ভারতীয় নাট্যকারদের পর উইলিয়ম শেক্সপিয়রের আবির্ভাবই নাটকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়ো ঘটনা। আধুনিক নাটকের জন্ম হয় নরওয়ের হেনরিক ইবসেনের হাতে। এরপর স্ট্রিন্ডবার্গ, বার্নাড শ, চেকভ, পিরানদেল্লোর হাতে আধুনিকতার ধারনা আরও বিস্তৃত হয়। নাটক নিয়ে বিশ শতকে নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলতে থাকে। কার্ল ক্রাউস লেখেন সাড়ে ৬০০ পৃষ্ঠার যুগান্তকারী নাটক, ‘দি লাস্ট ডেজ অফ ম্যানকাইন্ড’। একদিকে ব্রেশট, অন্যদিকে বেকেট, নাটক কখনও সমষ্টিজীবন, কখনও বা ব্যক্তিজীবনের অন্তর্গত টানাপোড়েনের আলেখ্য হয়ে ওঠে। বাংলা তথা ভারতীয় নাটকেও গড়ে ওঠে এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, আধুনিক যুগে যার কেন্দ্রে আছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। শুধু ইউরোপ-আমেরিকা নয়, এ বই এশিয়া-আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকা-পূর্ব ইউরোপ-কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকায় লেখা নাটকেরও প্রধান কীর্তিগুলিকে স্পর্শ করতে চেয়েছে। শিরোনামে ‘১০০’ থাকলেও, এ বই আসলে নানা প্রসঙ্গ সূত্রে কয়েকশো নাট্যকারের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করতে চেয়েছে। নাটক নিয়ে নানা আন্দোলন, তত্ত্ব, চিন্তা-ভাবনার বাঁকবদল, পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথাও এসেছে এই বইতে। নাটকের গোটা ইতিহাস সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা হয়ে যাবে এই বই পড়লে। বাংলা ভাষায় এরকম বই আগে লেখা হয়নি।