Description
“ব্যক্তি কতটা স্বাধীন সে প্রশ্ন, যম বা স্ফিংসের প্রশ্ন এবং কোনো ধর্মরাজ বা ঈদিপাস এখনও আসেনি যে এই প্রশ্নের উত্তর দেবে। একটি দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় আমরা যা ভাবি আমরা যা করি তা অনিবার্য ছিল। এর ঠিক উলটো দিকটা হল— আমরা তো কোনটা ঠিক কোনটা ভুল, শাশ্বত যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাই করে নিতে জানি। তাই আমরাই আমাদের অস্তিত্ব এবং কাজের জন্যে দায়ী।
ঊনবিংশ শতকে দর্শন, সমাজতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব, অপরাধতত্ত্ব ইত্যাদি মানববিজ্ঞানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হল। ফ্রয়েড বললেন মানুষ কামনার দাস। তার স্বাধীনতা নেই। মার্কসও বললেন ব্যক্তি স্বাধীন নয়। শক্তিশালী সামাজিক প্রতিষ্ঠান তাকে চালনা করে।
ফুকো মার্কস আর ফ্রয়েড দু-জনকেই খানিকটা মেনে নিলেন। তিনি বললেন সমাজের যে কাঠামো তার মধ্যেই ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিকে কীভাবে বোঝা হবে, বা ব্যক্তি অন্যের সঙ্গে কীভাবে প্রতিক্রিয়া করবে, তা ইতিহাসের এক কাল থেকে অন্য কালে ভিন্ন। এক সংস্কৃতি থেকে অন্য সংস্কৃতিতে ভিন্ন। ফুকো ঘোষণা করলেন সাবজেক্টের মৃত্যু হয়ে গেছে।”