Description
প্রদীপের শিখা তার চারপাশটা আলো করে রাখলেও প্রদীপের শরীরের ঠিক নীচে এঁকে রাখে নিকষ কালো ছায়া। আলো আর কালো একে অপরের হাতে হাত রেখে বৃদ্ধ সময়ের বুকে একসঙ্গেই পথ চলেছে চিরকাল। আমরা ভাবি যা কিছু দেখা যায় তাই-ই সত্যি। সত্যিই কি তাই? নাকি ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি বলেই মানুষের মনে এই অহংকার? ঠিক সেকারণেই হয়তো নিশ্চিন্ত দিন গুজরানের সময়রেখার কোনো অচেনা মোড়ে অতর্কিতে এমন কিছু ভেসে ওঠে যা পঞ্চেন্দ্রিয়ের সমস্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কয়েক মুহূর্তের জন্য নির্বাক করে দেয়, স্তব্ধ করে দেয়। যুক্তিতে যার ব্যাখ্যা হয় না। আত্মবিশ্বাসী মনও তখন থমকে থেমে ভাবে, এ তো সত্য হতে পারে না, তবুও কি সত্যি? অলৌকিক বা অতিপ্রাকৃত শব্দের আড়ালে আছে আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বা অজানা জগতের হাতছানি, অনন্য কোনো অনুভব বা মনস্তাত্ত্বিক উত্তরণ, কায়াহীনের ছায়া বা পরাবাস্তবের অবয়ব। প্রবাহিত মিথ অন্তঃসলিলার মতো বয়ে চলেছে এই পথেই। বিশ্ব পুরাণ, ধর্মীয় ভাবনা, তন্ত্র অনুশীলন কোনো কিছুই বাদ যায় না অপার্থিব জগতের এই বৃহত্তর পরিধি থেকে। কল্পনার মায়াজাল বিস্তার করে সেই অপার্থিব পৃথিবীকে বারবার ছুঁতে চেয়েছে মানুষ। বুঝতে চেয়েছে, জানতে চেয়েছে সেই অচেনা-অধরা জগতকে। কিন্তু সেই দ্বার রুদ্ধ থেকেছে চিরকাল। এবার তাই কল্পনার তুলি নয়, বাস্তবের কলমে লেখা থাক কিছু বিশ্বাস, কিছু অভিজ্ঞতার কথা। আমাদের খুব চেনা পৃথিবীর বুকে যে সব ঘটনা-মিথ-বিশ্বাস ধূসর রঙে লেখা আছে, সেগুলি যত্নে তোলা থাক তিন কন্যার লেখা গল্পসংকলনে।