Description
কুষাণসম্রাট কণিষ্ক মহাচীনের রাজকুমারী চেন-এর একটি চিত্র দেখে তাঁর প্রেমে পড়েন। রাজমহিষী হিসাবে পেতে চান তাঁকে কিন্তু এই প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়। চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতের শোচনীয় হার হয়। কণিষ্ক কষ্ট পেলেও বৌদ্ধাচার্য মহামতি অশ্বঘোষের সাহচর্যে নতুন পথের দিশা পান তিনি। বৌদ্ধধর্মের সংকট নিরসনে চতুর্থ বৌদ্ধ ধর্মসংগীতির আয়োজন করেন। অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই রোমে যীশুখ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় এক চীনা বণিকের প্রেমে পড়েন রোমান সম্রাটের এক নারী গুপ্তচর। ভারতে পালিয়ে আসে তারা। ভারতে তাদের সঙ্গে দেখা হয় আর একজন পলাতক গ্রীক রাজকুমারের। আশ্চর্যভাবে দুটি পুরুষই নারীটিকে ভালবেসে ফেলে। এদিকে সম্রাট কণিষ্ক নিজের প্রেমকে ভোলেন না। চীনা রাজকুমারী ভারতসম্রাট কণিষ্ককে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করবেন কিনা জানতে উদগ্রীব হয়ে ওঠেন তিনি। চীনা বণিক ও রোমান গুপ্তচর নারীটিকে গ্রেপ্তার করে কুষাণ রক্ষীরা। চীনে ধর্মযাত্রা পাঠানো পাশাপাশি, বিশেষ এক উদ্দেশ্যে রোমান নারী ও চৈনিক বণিকটিকে সেখানে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য রাজকুমারীর মনের কথাটি জানা। একসময় মৃত্যুর মূল্যে সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত গোপন কথাটি জানতে পারে এই যুগল, কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হন ভারত সম্রাট। পাশাপাশি উঠে এসেছে, রোমান সম্রাট ডোমিশিয়ানের পারিবারিক ও প্রেমজীবনের ইতিহাসভিত্তিক কাহিনি ও অন্যটি মথুরানগরের এক শিল্পীপরিবারের সদস্যদের প্রেম ও প্রেমহীন জীবন সংগ্রামের ইতিহাসনির্ভর কল্পকাহিনি। তিনটি কাহিনি গাঁথা হয়েছে গল্পের সুতোর অবিরাম টানাপোড়েনে। কাহিনিকে মন্দ্রিত করেছে গান্ধার শিল্পীদের ছেনি-বাটালির ঠুকঠাক ধ্বনি-মাধুর্য। এই উপন্যাসের প্রধান আকর্ষণ এর পটভূমির আন্তর্জাতিক ভাবধারা।